মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
নবীনগর উপজেলা প্রকৌশলির বিরুদ্ধে কাজ না করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে পন্য ও সেবা বাবদ সহায়তা খাতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামত ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৮৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।
তবে গুঞ্জন রয়েছে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এ প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে । বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজই হয়নি। অনেক প্রকল্পের কাজ হয়েছে তবে সামান্য। আর কয়েকটি খুঁজেই পাওয়া যায়নি। কিন্তু সব কটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ধুম্রজাল।
বরাদ্দকৃত মোটা অংকের একটি অর্থ কাজ না করে উপজেলা প্রকৌশলী ইসতিয়াক হাসান আত্মসাৎ করেছেন বলে এমন গুঞ্জন উঠেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে তার অনিয়মের কারণে স্থানীয় বেশ কয়েকজন ঠিকাদার তার বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন বলে সূত্রে জানা যায়। তাছাড়া এলজিইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় সে এ ধরনের অনিয়ম করতে সাহস পাচ্ছে বলে স্থানীয় ঠিকাদাররা জানান।
মেসার্স আলী ট্রেডার্স এর সত্তাধিকারী মোঃ হযরত আলী জানান, শিবপুরে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর নির্মাণ কাজ শেষে, কাজের বিল পরিষদের আবেদন করি। তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী ইসতিয়াক হাসান আমার কাছে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করে। ফলে তার চাহিদা মত ঘুষ না দেওয়াই ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে মোট ২০ লক্ষ টাকা আমাকে প্রদান করেন। এবং বাদবাকি টাকা প্রদান করতে বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা করছেন।
এদিকে সরজমিনে না পেয়ে একাধিকবার মোবাইলে উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক জানান, এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের দায়িত্ব। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম সম্পর্কে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।